মোঃ নাজমুল হক,
আদিতমারী (নিলফামারী) প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নে, তামাক চাষে জমির ঊর্বরতা শক্তি কমছে ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।তামাকের বিষ’ ক্রিয়ায় পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পাশাপাশি কৃষক ও বাচ্চাদের বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কৃষি বিভাগের উদাসীনতা, তামাক উৎপাদনের আগে কোম্পানিগুলোর দর নির্ধারণ, বিক্রির নিশ্চয়তা, চাষের জন্য সুদমুক্ত ঋণ, কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও পরামর্শ দান তামাক চাষ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ।
কয়েক বছর আগেও যেসব আবাদি জমিতে ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা ও আলুসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হতো সেসব জমিতে এখন তামাক চাষ হচ্ছে।
তামাকজাত কোম্পানির প্রলোভনে ও অধিক মুনাফার আশায় তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকেরা।
অধিক টাকা খরচ করে ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় এবং শ্রমিকের অধিক মূল্য হওয়ায় কৃষকরা প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে লাভের আশায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি জেনেও তারা তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছে । তামাক চাষ ও সেবন মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তামাক পাতার বিড়ি, সিগারেট, গুল, খইনি ও জর্দাসহ নানান ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করায় বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, চর্ম , ক্যানসারসহ নানা রোগ। তামাক চাষের কারণে কৃষকদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায়, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার কয়েকটি এলাকায় জমিগুলোতে দিন দিন বেড়েই চলেছে তামাক চাষ। নারী-পুরুষ ও শিশুদের দিয়ে চলছে পরিচর্যা।
কৃষকদের কাছে শারীরিক ভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতির কথা জানতে চাইলে তারা বলেন, যখন তামাকের কাঁচা পাতাগুলো গাঁথি তখন বিশ্রী একটা গন্ধে খারাপ লাগে কিন্তু এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। যাইহোক কী করব? এখন তো খেয়ে বাঁচি।
Leave a Reply